গিরিখাত ও ক্যানিয়নের পার্থক্য (Gorge- Canyon)

 গিরিখাত (Gorge)

কঠিন শিলায় গঠিত আর্দ্র পার্বত্য অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদী ভূমির ঢাল অধিক থাকায় প্রবলভাবে নিম্ন ক্ষয় করে যে সংকীর্ণ 'V' আকৃতির গভীর উপত্যকা সৃষ্টি করে, তাকে গিরিখাত বলে।
 
ক্যানিয়ন (Canyon):

শুষ্ক জলবায়ুতে কঠিন শিলায় গঠিত পার্বত্য অঞ্চলে নদী প্রবাহিত হলে জলের অভাবের কারণে নদী মূলত নিম্নক্ষয়ের জন্য অত্যন্ত সংকীর্ণ গভীর 'I' আকৃতির উপত্যকা গঠন করে, শুষ্ক অঞ্চলের এরূপ উপত্যকা বা গিরিখাতকে ক্যানিয়ন বলে।
 

গিরিখাত ক্যানিয়নের পার্থক্য:

1. অবস্থান:
গিরিখাত- আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।
ক্যানিয়ন- বৃষ্টিহীন শুষ্ক মরু প্রায় অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।
 
2. উৎপত্তি:
গিরিখাত- নিম্নক্ষয়ের সঙ্গে পার্শ্বক্ষয় দেখা যায়।
ক্যানিয়ন- প্রধানত তীব্র নিম্নক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি হয়।
 
3. আকৃতি:
গিরিখাত- 'V' আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি হয়।
ক্যানিয়ন- 'I' আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি হয়।
 
4. নদীখাত:
গিরিখাত- অপেক্ষাকৃত কম গভীর সংকীর্ণ হয়।
ক্যানিয়ন- অপেক্ষাকৃত সুগভীর খুবই সংকীর্ণ হয়।
 
5. ভূমির ঢাল:
গিরিখাত- নদী উপত্যকার ঢাল তুলনামূলক কম হয়।
ক্যানিয়ন- নদী উপত্যকার ঢাল তুলনামূলক বেশি হয়।
 
6. উপনদীর সংখ্যা:
গিরিখাত- দুপাশ থেকে কিছু উপনদী এসে নদীখাতে মিলিত হয়
ক্যানিয়ন- শুষ্ক জলবায়ুর জন্য উপনদী এসে মিলিত হয় না
 
7. উদাহরণ:
গিরিখাত- ইয়াংসি-কিয়াং নদীর ইচাং গিরিখাত
ক্যানিয়ন- কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন
Theme images by chuwy. Powered by Blogger.
close