skip to main |
skip to sidebar
বায়ুপ্রবাহের গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলা লম্বভাবে অবস্থান করলে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হলেও কঠিন শিলাস্তর পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে টিলার আকারে দাঁড়িয়ে থাকে, এগুলিকে ইয়ারদাং বলে।
উদাহরণ: চিলির আটাকামা ও মধ্য এশিয়ার মরু অঞ্চলে ইয়ারদাং দেখা যায়।
উৎপত্তি: মরু অঞ্চলে বায়ু প্রবাহপথে কঠিন ও কোমল শিলা উলম্বভাবে পর্যায়ক্রমে অবস্থান করলে বায়ুবাহিত বালিকণা অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় এই দুই শিলাস্তরকে ক্ষয় করে। কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয় হয় এবং কঠিন শিলা কম ক্ষয় হয়ে দীর্ঘ প্রাচীরের আকার ধারণ করে ইয়ারদাং সৃষ্টি হয়।
বৈশিষ্ট্য: ইয়ারদাং এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য গুলি হল –
উচ্চতা ও বিস্তার: ইয়ারদাং এর উচ্চতা 6 মিটার পর্যন্ত হয় এবং 70 থেকে 400 মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
শিলার অবস্থান: কঠিন ও কোমল শিলা উলম্বভাবে ও বায়ুপ্রবাহের সমান্তরালে বিন্যস্ত হয়।
সৃষ্টি: বায়ুর অবঘর্ষ ক্ষয় প্রক্রিয়ায় ইয়ারদাং সৃষ্টি হয়
আকৃতি: ইয়ারদাং বিচিত্র প্রকৃতির শৈলশিরার মত দেখতে হয়।
গঠন: এর নিচের অংশ মোটা ও উপরের অংশ তীক্ষ্ণ প্রকৃতির হয়।
সুরঙ্গ সৃষ্টি: দু'পাশে কঠিন শিলা বিশিষ্ট বিচিত্র স্তুপের মধ্যবর্তী স্থানে সুরঙ্গ দেখা যায়।
নিডিল: ইয়ারদাং -এর মাথাগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে তীক্ষ্ণ ও সুঁচোলো আকৃতির হলে তখন তাকে নিডিল (Needle)বলে।
মোরগের ঝুঁটি: ইয়ারদাংকে মোরগের ঝুঁটির ন্যায় দেখতে হয় বলে একে Cook's comb Ridge বলে