ইয়ারদাং ও জিউগেন পার্থক্য

ইয়ারদাং: বায়ুপ্রবাহের গতিপথে কঠিন কোমল শিলা লম্বভাবে অবস্থান করলে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হলেও কঠিন শিলাস্তর পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে টিলার আকারে দাঁড়িয়ে থাকে, এগুলিকে ইয়ারদাং বলে।
 
জিউগেন: মরুভূমিতে কঠিন কোমল শিলা পর্যায়ক্রমে অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে বায়ুর অবঘর্ষ ক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট চ্যাপ্টা সমতল উপরিভাগ বিশিষ্ট ভূমিরূপকে জিউগেন বলে।
 
ইয়ারদাং জিউগেন পার্থক্য: ইয়ারদাং জিউগেনের উল্লেখযোগ্য পার্থক্য গুলি হল
 
1.শিলার অবস্থান:
ইয়ারদাং: কঠিন কোমল শিলাস্তর পর্যায়ক্রমে লম্বভাবে অবস্থান করে।
 
জিউগেন: কঠিন কোমল শিলাস্তর অনুভূমিকভাবে অবস্থান করে।
 
2. আকৃতি:
ইয়ারদাং: ইয়ারদাং বিচিত্র প্রকৃতির শৈলশিরার মতো দেখতে হয়।
 
জিউগেন: জিউগেন ব্যাঙের ছাতার মতো দেখতে হয়।
 
3. গঠন:
ইয়ারদাং: নিচের অংশ মোটা উপরের অংশ তীক্ষ্ণ প্রকৃতির হয়।
 
জিউগেন: নিচের অংশ সরু উপরের অংশ মোটা হয়।
 
4. উচ্চতা:
ইয়ারদাং: ইয়ারদাং এর উচ্চতা 6 মিটার পর্যন্ত হয়।
 
জিউগেন: জিউগেন 3-30 মিটার পর্যন্ত উচ্চ হয়।
 
5. ঢাল:
ইয়ারদাং:  এর দুপাশে অসমান ঢালযুক্ত অপ্রতিসম প্রকৃতির হয়।
 
জিউগেন: এর দুপাশে সমান ঢালযুক্ত প্রতিসম প্রকৃতির হয়।
 
6. উদাহরণ:
ইয়ারদাং: চিলির আটাকামা মধ্য এশিয়ার মরু অঞ্চলে ইয়ারদাং দেখা যায়।
 
জিউগেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাংশের  সোনেরান দক্ষিণ আফ্রিকার কালাহারি মরুভূমিতে অসংখ্য জিউগেন দেখা যায়।
 
Theme images by chuwy. Powered by Blogger.
close