নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের বৈশিষ্ট্য (Temperate Cyclone)
নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত:
উভয় গোলার্ধে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে 30°-65° অক্ষাংশের মধ্যবর্তী স্থানে যে ঘূর্ণবাত এর উৎপত্তি হয় তাকে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বলে।
উভয় গোলার্ধে মধ্য অক্ষাংশ বা উপক্রান্তীয় অঞ্চলে মূলত স্থলভাগে উষ্ণ আর্দ্র পশ্চিমা বায়ুপুঞ্জ এবং শীতল শুষ্ক মেরু বায়ুপুঞ্জ মিলিত হয়ে সীমান্ত সৃষ্টি করলে, উভয় সীমান্তে তরঙ্গের মাধ্যমে আলোড়ন ঘটে যে দুর্বল ও দীর্ঘস্থায়ী ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয় তাকে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বলে।
নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের বৈশিষ্ট্য:
নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল –
1. অবস্থান: উপক্রান্তীয় অঞ্চলে 30°-65° অক্ষাংশের মধ্যবর্তী স্থানে সাধারণত স্থলভাগের ওপর নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়।
2. উৎপত্তির সময়: নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বছরের যে কোন সময় জন্ম লাভ করলেও সাধারনত শীতকালে সৃষ্টি হয়।
3. সীমান্ত সৃষ্টি: দুটি বিপরীতধর্মী বায়ুপুঞ্জের মিলন স্থলে এই ঘূর্ণবাতে সীমান্ত সৃষ্টি হয়।
4. শক্তির উৎস: দুটি ভিন্ন ধর্মী বায়ুর মিলন স্থলে উষ্ণতার পার্থক্য থেকে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত শক্তি সংগ্রহ করে।
5. আয়তন: নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের আয়তন বিশাল হয়। এই ঘূর্ণবাতের গড় ব্যাস 150 কিমি থেকে 3000 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
6. বায়ুর চাপ: এই ঘূর্ণবাত বায়ুর চাপ 1000 মিলিবারের কাছাকাছি থাকে এবং প্রান্তভাগের সঙ্গে চাপের পার্থক্য থাকে 10 থেকে 30 মিলিবার।
7. সমচাপরেখার আকৃতি: এই ঘূর্ণবাতের সমচাপ রেখা গুলি সাধারণত 'V' আকৃতির হয়।
8. গতিবেগ: নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের গড় গতিবেগ গ্রীষ্মকালে অপেক্ষাকৃত 30 কিমি এবং শীতকালে বেশি হয়( 50 কিমি)।
9. প্রবাহের দিক: পশ্চিমা বায়ু প্রবাহের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বলে এই ঘূর্ণবাত পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়।
10. বায়ু প্রবাহের দিক: এই ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উষ্ণ বায়ু ঊর্ধ্বগামী ও শীতল বায়ু নিম্নগামী হয়।
11. প্রতীপ ঘূর্ণবাতের সহাবস্থান: নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত ঘটার পরে প্রতীপ ঘূর্ণবাত সৃষ্টির অবস্থা তৈরি হয়।
12. বৃষ্টিপাত: অসম ভাবে বহুদিন ধরে হালকা অবিরাম বৃষ্টি ও তুষারপাত হয়। সীমান্তে সর্বাধিক এবং অন্যত্র হ্রাস পায়।
13. ব্যারোক্লিনিক আবহাওয়া: দুই ভিন্নধর্মী বায়ুপুঞ্জের মিলনে সৃষ্টি হয় বলে আবহমন্ডলের এই ধরনের বিষমধর্মিতাকে ব্যারোক্লিনিক আবহাওয়া বলে।
14. ধ্বংসক্ষমতা: নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত অত্যন্ত দুর্বল ও ক্ষয়ক্ষতি খুবই কম হয়।
উভয় গোলার্ধে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে 30°-65° অক্ষাংশের মধ্যবর্তী স্থানে যে ঘূর্ণবাত এর উৎপত্তি হয় তাকে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বলে।
উভয় গোলার্ধে মধ্য অক্ষাংশ বা উপক্রান্তীয় অঞ্চলে মূলত স্থলভাগে উষ্ণ আর্দ্র পশ্চিমা বায়ুপুঞ্জ এবং শীতল শুষ্ক মেরু বায়ুপুঞ্জ মিলিত হয়ে সীমান্ত সৃষ্টি করলে, উভয় সীমান্তে তরঙ্গের মাধ্যমে আলোড়ন ঘটে যে দুর্বল ও দীর্ঘস্থায়ী ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয় তাকে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বলে।
নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের বৈশিষ্ট্য:
নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল –
1. অবস্থান: উপক্রান্তীয় অঞ্চলে 30°-65° অক্ষাংশের মধ্যবর্তী স্থানে সাধারণত স্থলভাগের ওপর নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়।
2. উৎপত্তির সময়: নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বছরের যে কোন সময় জন্ম লাভ করলেও সাধারনত শীতকালে সৃষ্টি হয়।
3. সীমান্ত সৃষ্টি: দুটি বিপরীতধর্মী বায়ুপুঞ্জের মিলন স্থলে এই ঘূর্ণবাতে সীমান্ত সৃষ্টি হয়।
4. শক্তির উৎস: দুটি ভিন্ন ধর্মী বায়ুর মিলন স্থলে উষ্ণতার পার্থক্য থেকে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত শক্তি সংগ্রহ করে।
5. আয়তন: নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের আয়তন বিশাল হয়। এই ঘূর্ণবাতের গড় ব্যাস 150 কিমি থেকে 3000 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
6. বায়ুর চাপ: এই ঘূর্ণবাত বায়ুর চাপ 1000 মিলিবারের কাছাকাছি থাকে এবং প্রান্তভাগের সঙ্গে চাপের পার্থক্য থাকে 10 থেকে 30 মিলিবার।
7. সমচাপরেখার আকৃতি: এই ঘূর্ণবাতের সমচাপ রেখা গুলি সাধারণত 'V' আকৃতির হয়।
8. গতিবেগ: নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের গড় গতিবেগ গ্রীষ্মকালে অপেক্ষাকৃত 30 কিমি এবং শীতকালে বেশি হয়( 50 কিমি)।
9. প্রবাহের দিক: পশ্চিমা বায়ু প্রবাহের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বলে এই ঘূর্ণবাত পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়।
10. বায়ু প্রবাহের দিক: এই ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উষ্ণ বায়ু ঊর্ধ্বগামী ও শীতল বায়ু নিম্নগামী হয়।
11. প্রতীপ ঘূর্ণবাতের সহাবস্থান: নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত ঘটার পরে প্রতীপ ঘূর্ণবাত সৃষ্টির অবস্থা তৈরি হয়।
12. বৃষ্টিপাত: অসম ভাবে বহুদিন ধরে হালকা অবিরাম বৃষ্টি ও তুষারপাত হয়। সীমান্তে সর্বাধিক এবং অন্যত্র হ্রাস পায়।
13. ব্যারোক্লিনিক আবহাওয়া: দুই ভিন্নধর্মী বায়ুপুঞ্জের মিলনে সৃষ্টি হয় বলে আবহমন্ডলের এই ধরনের বিষমধর্মিতাকে ব্যারোক্লিনিক আবহাওয়া বলে।
14. ধ্বংসক্ষমতা: নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত অত্যন্ত দুর্বল ও ক্ষয়ক্ষতি খুবই কম হয়।