উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের নদনদীর পার্থক্য
আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে ভারতের নদনদী সমূহকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায় –
উত্তর ভারতের নদনদী: গঙ্গা, সিন্ধু ও ব্রহ্মপুত্র প্রকৃতি।
দক্ষিণ ভারতের নদনদী: গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী, মহানদী, নর্মদা ও তাপি প্রভৃতি।
উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের নদনদীর পার্থক্য:
1. উৎস:
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলি প্রধানত হিমালয় পর্বতমালা থেকে উৎপত্তি হয়েছে।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি প্রধানত দাক্ষিণাত্যের মালভূমি থেকে উৎপত্তি হয়েছে।
2. দৈর্ঘ্য:
🔶উত্তর ভারতের নদনদীর দৈর্ঘ্য তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
👉দক্ষিণ ভারতের নদনদীর দৈর্ঘ্য তুলনামূলকভাবে বেশ কম।
3. জলপ্রবাহ:
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলি বৃষ্টির জল ও হিমবাহের বরফ গলা জলে পুষ্ট তাই জলের পরিমাণ অনেক বেশি এবং বরফ গলা জলের জন্য নিত্যবহ হয়।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি কেবলমাত্র বৃষ্টির জলে পুষ্ট তাই জলের পরিমাণ অনেক কম এবং নদীগুলি অনিত্যবহ হয়।
4. বয়স:
🔶উত্তর ভারতের নদনদী গুলি অপেক্ষাকৃত নবীন।
👉দক্ষিণ ভারতের নদনদী গুলি অপেক্ষাকৃত প্রাচীন।
5. উপনদীর সংখ্যা:
🔶উত্তর ভারতের নদনদী গুলির দৈর্ঘ্য এবং অববাহিকা বড় হওয়ায় উপনদীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হয়।
👉দক্ষিণ ভারতের নদনদী গুলির দৈর্ঘ্য এবং অববাহিকা অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় উপনদীর সংখ্যা কম হয়।
6. বদ্বীপ:
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলির মোহনায় বিশাল আকৃতির বদ্বীপ গড়ে উঠেছে।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলির বদ্বীপ আকারে ছোট হয় এবং নর্মদা ও তাপী নদীতে বদ্বীপ নেই।
7. জলসেচ:
🔶উত্তর ভারতের নিত্যবহ নদীগুলিতে সারাবছর জল থাকে বলে জল সেচের সুবিধা হয়।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলিতে বাঁধ দিয়ে জল ধরে না রাখলে সারা বছর জলসেচ করা যায় না।
8. নাব্যতা:
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলি বেশিরভাগ অংশ সমভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এবং জলের পরিমাণ বেশি থাকায় নৌপরিবহনের উপযুক্ত।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি উঁচু-নিচু মালভূমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এবং জলপ্রবাহের পরিমাণ কম থাকায় নৌপরিবহনের অনুপযুক্ত।
উত্তর ভারতের নদনদী: গঙ্গা, সিন্ধু ও ব্রহ্মপুত্র প্রকৃতি।
দক্ষিণ ভারতের নদনদী: গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী, মহানদী, নর্মদা ও তাপি প্রভৃতি।
1. উৎস:
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলি প্রধানত হিমালয় পর্বতমালা থেকে উৎপত্তি হয়েছে।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি প্রধানত দাক্ষিণাত্যের মালভূমি থেকে উৎপত্তি হয়েছে।
🔶উত্তর ভারতের নদনদীর দৈর্ঘ্য তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
👉দক্ষিণ ভারতের নদনদীর দৈর্ঘ্য তুলনামূলকভাবে বেশ কম।
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলি বৃষ্টির জল ও হিমবাহের বরফ গলা জলে পুষ্ট তাই জলের পরিমাণ অনেক বেশি এবং বরফ গলা জলের জন্য নিত্যবহ হয়।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি কেবলমাত্র বৃষ্টির জলে পুষ্ট তাই জলের পরিমাণ অনেক কম এবং নদীগুলি অনিত্যবহ হয়।
🔶উত্তর ভারতের নদনদী গুলি অপেক্ষাকৃত নবীন।
👉দক্ষিণ ভারতের নদনদী গুলি অপেক্ষাকৃত প্রাচীন।
🔶উত্তর ভারতের নদনদী গুলির দৈর্ঘ্য এবং অববাহিকা বড় হওয়ায় উপনদীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হয়।
👉দক্ষিণ ভারতের নদনদী গুলির দৈর্ঘ্য এবং অববাহিকা অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় উপনদীর সংখ্যা কম হয়।
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলির মোহনায় বিশাল আকৃতির বদ্বীপ গড়ে উঠেছে।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলির বদ্বীপ আকারে ছোট হয় এবং নর্মদা ও তাপী নদীতে বদ্বীপ নেই।
🔶উত্তর ভারতের নিত্যবহ নদীগুলিতে সারাবছর জল থাকে বলে জল সেচের সুবিধা হয়।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলিতে বাঁধ দিয়ে জল ধরে না রাখলে সারা বছর জলসেচ করা যায় না।
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলি বেশিরভাগ অংশ সমভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এবং জলের পরিমাণ বেশি থাকায় নৌপরিবহনের উপযুক্ত।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি উঁচু-নিচু মালভূমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এবং জলপ্রবাহের পরিমাণ কম থাকায় নৌপরিবহনের অনুপযুক্ত।
9. গতিপথ:
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলির উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন তিনটি গতিই সুস্পষ্ট তাই নদীগুলি আদর্শ প্রকৃতির হয়। যেমন- গঙ্গা।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলির গতিপথের বিভিন্ন পর্যায় অস্পষ্ট এবং তার মধ্যে সমতাও নেই।
10. গতিপথ পরিবর্তন:
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলি নবীন এবং সমভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সময় গতিপথ প্রায় পরিবর্তিত হয়। এর ফলে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায়।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি প্রাচীন এবং মালভূমির কঠিন শিলা স্তরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে না।
11. জলবিদ্যুৎ:
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলি পার্বত্য অঞ্চল ছাড়া বেশিরভাগ অংশ সমভূমিতে প্রবাহিত হওয়ায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুকূল নয়।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি অধিকাংশ পথ মালভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উপযুক্ত।
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলির উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন তিনটি গতিই সুস্পষ্ট তাই নদীগুলি আদর্শ প্রকৃতির হয়। যেমন- গঙ্গা।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলির গতিপথের বিভিন্ন পর্যায় অস্পষ্ট এবং তার মধ্যে সমতাও নেই।
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলি নবীন এবং সমভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সময় গতিপথ প্রায় পরিবর্তিত হয়। এর ফলে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায়।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি প্রাচীন এবং মালভূমির কঠিন শিলা স্তরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে না।
🔶উত্তর ভারতের নদীগুলি পার্বত্য অঞ্চল ছাড়া বেশিরভাগ অংশ সমভূমিতে প্রবাহিত হওয়ায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুকূল নয়।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি অধিকাংশ পথ মালভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উপযুক্ত।
🔶উত্তর ভারতের নদী তীরবর্তী অঞ্চলে অনেক শহর ও বন্দর গড়ে উঠেছে।
👉দক্ষিণ ভারতের নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে শহর ও বন্দরের সংখ্যা তুলনামূলক কম।