নক্ষত্র ও গ্রহের পার্থক্য

Difference between Star and Planet:

নক্ষত্র কাকে বলে

মহাকাশে অবস্থিত যে সকল বৃহৎ জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো তাপ রয়েছে এবং যাদের কেন্দ্র করে বিভিন্ন গ্রহ উপগ্রহ-সহ মহাজাগতিক বস্তুসমূহ নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে চলেছে, তাদের নক্ষত্র বলে।
 
যেমন- সূর্য, সাইরিয়াস, লুব্ধক ইত্যাদি।
 

গ্রহ কাকে বলে

মহাকাশে ভাসমান নক্ষত্র থেকে সৃষ্ট, যে সকল জ্যোতিষ্কের নিজস্ব কোন আলো তাপ নেই, এরা উৎস নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হয় সেই উৎস নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে, তাকে গ্রহ বলে।
 
যেমন- পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি শনি।
 

নক্ষত্র গ্রহের পার্থক্য:

নক্ষত্র গ্রহের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল
 
1. সৃষ্টি:
নক্ষত্র: মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় অসংখ্য ধূলিকণা গ্যাসের মহাজাগতিক মেঘ বা নীহারিকা থেকে প্রকাণ্ড আকারের জ্বলন্ত নক্ষত্রের সৃষ্টি হয়।
 
গ্রহ: নক্ষত্র সৃষ্টি পর, মহাবিস্ফোরণের ফলে নক্ষত্র থেকে বিভিন্ন গ্রহের সৃষ্টি হয়।
 
2. আলো তাপ:
নক্ষত্র: নক্ষত্রদের নিজস্ব আলো তাপ রয়েছে। নক্ষত্রগুলি নিউক্লিয় বিভাজনের মাধ্যমে আলো তাপের উৎপত্তি ঘটায়।
 
গ্রহ: গ্রহদের নিজস্ব আলো তাপ নেই, এরা নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত উত্তপ্ত হয়।
 
3. আলোর প্রকৃতি:
নক্ষত্র: নক্ষত্ররা আকাশে মিটমিট করে জ্বলে।
 
গ্রহ: নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হয় বলে গ্রহদের আলো স্থির।
 
4. গঠন:
নক্ষত্র: নক্ষত্র গুলি হয় বৃহৎ আকারের জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিণ্ড।
 
গ্রহ: গ্রহ গুলি হয় অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র আকারের শীতল কঠিন ঘনবস্তু।
 
 
5. অবস্থান:
নক্ষত্র: নক্ষত্রগুলি আপাততভাবে স্থির থাকে। ফলে নক্ষত্রদের পারস্পরিক দূরত্ব সব সময় একই থাকে।
 
গ্রহ: গ্রহগুলি কোন নক্ষত্রের চারিপাশে প্রদক্ষিণ করে থাকে। ফলে গ্রহদের নিজস্ব দূরত্বের বৃদ্ধি ঘটে।
 
6. ক্ষেত্রমান:
নক্ষত্র: নক্ষত্রগুলি তুলনামূলক ক্ষেত্রমানে অনেক বড় হয়।
 
গ্রহ: গ্রহগুলি ক্ষেত্রমানে নক্ষত্রের তুলনায় ছোট ভাই হয়।
 
7. বয়স:
নক্ষত্র: উৎপত্তি অনুসারে নক্ষত্রগুলি গ্রহদের তুলনায় বয়সে প্রাচীন।
 
গ্রহ: উৎপত্তি অনুসারে গ্রহগুলি নক্ষত্রের তুলনায় বয়সে নবীন হয়।
 
8. কক্ষপথ:
নক্ষত্র: নক্ষত্রের নিজস্ব কক্ষপথের পরিধি অতি বিশাল হয়ে থাকে।
 
গ্রহ: গ্রহগুলি নিকটবর্তী নক্ষত্রদের পরিক্রমণ করে বলে, এদের কক্ষপথের পরিধি তুলনামূলক অনেক ছোট হয়।

Theme images by chuwy. Powered by Blogger.
close